কলকাতা শহর , শহরতলি ও রাজ্যজুড়ে ১৩০ টি সিএনজি স্টেশনের পরিকল্পনার কথা জানানো হয় গ্যাস কোম্পানির তরফে। যেভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্য পরিবহন দপ্তর। সবুজ কলকাতার লক্ষ্যে একদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, আর অন্যদিকে সাশ্রয়ই উদ্দেশ্য। এই দুয়ের লক্ষ্যেই MOU - জানালেন পরিবহনমন্ত্রী। আপাতত দুর্গাপুর থেকে পরিবহনের মাধ্যমে সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস এসে পৌঁছোবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সিএনজি স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে পাইপলাইন।
advertisement
''পেট্রোল-ডিজেলের যেভাবে প্রতিদিন মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে আমরা শুধুমাত্র সরকারি যানবাহনই নয়, সাধারণ মানুষকেও বলব সিএনজি ব্যবহার বাড়াতে। কলকাতা শহরেই বেশ কয়েকটি সিএনজি স্টেশন করা হবে। হাতের কাছে সিএনজি পাওয়ায় অনেকেই উপকৃত হবে।'' বললেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, ''আমরা সরকারি যানবাহনে সিএনজি ও ইলেকট্রিক ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সরকারি সিএনজি গাড়ির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। সমস্ত যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তরিত করা বর্তমানে অনেক খরচসাপেক্ষ। তাই পঞ্জাব প্রযুক্তিগতভাবে Automobile- এ অনেক উন্নত। আমরা তাই সেখানকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি। খরচ নাগালের মধ্যে রেখে আদৌ ডিজেল কিংবা পেট্রোলচালিত যানবাহনকে CNG তে Convert করা সম্ভব কিনা! এই ব্যাপারে শীঘ্রই পরিবহন দপ্তরের বিশেষ টিম পাঞ্জাবে গিয়ে সেখানকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে।পাশাপাশি আমাদের এমন অনেক বাস রয়েছে যেগুলি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য। বিভিন্ন ডিপোতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। সেই সমস্ত বাসগুলোকেও সিএনজি চালিত করে পুনরুজ্জীবিত করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।''