নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগেই এই বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হয়েছিল। তবে জুন মাসে যেহেতু রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল তাই রাজ্যের সর্বস্তরে চালু হয়ে গিয়েছিল নির্বাচনী আচরণ বিধি। গত সপ্তাহে এই আচরণবিধি উঠে যাবার পর রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফে এর গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এর কাজ শুরু করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফ্যাক্টর সেই মমতা! কীভাবে এক ফোনেই কংগ্রেস এবং আপ-এর সমস্যা মেটালেন তৃণমূলনেত্রী..
নবান্ন সূত্রে এ-ও জানা গেছে, শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীদের অনলাইনে প্রিয় পরিষেবা দ্রুত চালু করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘ডাইরেক্টরেট অফ পেনশনস প্রভিডেন্ট ফান্ডস এন্ড গ্রুপ ইন্সিওরেন্স’ কে। গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, বছর শেষে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে মোট জমা অর্থের সুদ যথাসময়ে দেওয়া হবে। এই কাজগুলি করবে ডিপিপিজি। এই কাজগুলি যে সংস্থা করবে তার জন্য দফতর পিছু একজন করে নোডাল অফিসারও থাকবে। তাঁরাই দফতরের সঙ্গে এই সংস্থার সমন্বয় রেখে যাবতীয় কাজকর্ম করবেন।
শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ক্ষেত্রে অনলাইন পিএফ অ্যাকাউন্টের অনুমোদনের দায়িত্বে থাকবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। সব কর্মীকেই ‘সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাকাউন্ট নম্বর’ দেওয়া হবে। এই নম্বরটি আসলে অনলাইন পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর। যা দিয়ে তাঁরা নিজেদের পিএফ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
আগামী দিনে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের পিএফ পরিষেবা অনলাইনে চালু হলে শিক্ষকদের সমস্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই মিটে যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ।
অবসর নেওয়ার পর শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ থাকে পেনশনের সুবিধা পেতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে অনলাইনে এই পরিষেবা শুরু হলে সেই সমস্যা বা অভিযোগ অনেকটাই কমে আসবে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকদের একাংশ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়