সংগঠনের নেতা সুখরঞ্জন দে বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে কলকাতার পাশাপাশি সব জায়গাতেই বেশকিছু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বস্তিতে বসবাস করে আসছে। প্রশাসনের তরফে সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানীয় জলের লাইন দেওয়া হয়েছে। রাস্তা পাকা করা হয়েছে। তার মানে প্রশাসন জানে না বিষয়টা এমন নয়। ওই ঠিকানাতেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে। এগুলো কারা বানায়? জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় সেখানে গিয়ে ভোট চাইতে যাচ্ছেন। তাহলে এটা কোনও গোপন বিষয় নয়।’
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের পর প্লেন বাতিলের অভিযোগ! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে কটাক্ষ তৃণমূলের
সুখরঞ্জনবাবু বলেন, ‘এবার আসা যাক উচ্ছেদের প্রসঙ্গে। সরকার এখানে কি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাইছে? উত্তর হল না। এই জমিগুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই জমিগুলোতে শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি তৈরি করা হবে। কারা যাবে এখানে? না কোনও গরিব মানুষ এইসব জায়গায় যাবে না। তাহলে প্রশ্ন হল দেশটা কি শুধুই বড়লোকের জন্য। এখানে কি গরিবের কোনও জায়গা নেই? কোনও কল্যাণকর রাষ্ট্র এই রকমের কোনও কাজ করতে পারে? কেন্দ্রীয় সরকার সবকিছুই বিক্রি করে দিচ্ছে। এখন রেলের জমি, পোর্টের জমিতে হাত দিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপকে রাজ্য সরকারও সহযোগিতা করছে। আমরা একটা কথাই বলতে চাই। বস্তি উচ্ছেদ চলবে না। আমরা মানব না। আন্দোলন করব।’
পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষে আরও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘কলকাতার রাজপথে বস্তির বাসিন্দারা প্রতিবাদ করবে। আগামী ১২ অক্টোবর কলকাতায় কনভেনশন হবে। সেখানেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। কেউ ইচ্ছা করে বস্তিতে থাকে না। বাধ্য হয়েই থাকে। দেশের সকল মানুষের মাথায় ছাদ নেই। যাদের পাওয়ার কথা তাঁরা সেটা পাচ্ছে না। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান মানুষকে অধিকার সেটা না করে বস্তি উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। মানুষ এর উত্তর দেবে।’