সিবিএসই,আইসিএসই বোর্ড ইতিমধ্যেই দশম ও দ্বাদশ এর পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে সিলেবাস কমিয়ে দিয়েছে। কী কী সিলেবাস কমানো হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে এই দুই বোর্ড। কিন্তু রাজ্যের তরফে সিলেবাস কমানোর চিন্তাভাবনা শুরু হলেও কতটা সিলেবাস কমানো হবে, কী ভাবে কমানো হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রূপরেখা পায়নি। যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে সিলেবাস কমিটি। তাই তার আগে অনলাইনে ক্লাস কতটা পরিমাণে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছেছে সেটা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে নিতে চাইছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। কেন না ইতিমধ্যেই তিন মাস ক্লাসরুমে ক্লাস হয়েছে। আগামী দিনে কবে স্কুল খুলবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কিন্তু যেহেতু রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পোর্টাল মারফত ক্লাস নেওয়ার হচ্ছে তাই কতটা সিলেবাস পড়ানো সম্ভব হয়েছে সে বিষয়ে ধারণা নিতে চায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
advertisement
যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেবাস কমানোর বিষয়ে কোনও সঙ্কেত আসেনি স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে। তবে আগামী বছরের মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে গেলে সে ক্ষেত্রে সিলেবাস যে কমাতে হবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যাল সিলেবাস অনেকটাই কমিয়ে দিতে হবে বলেই মনে করছে।
সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে সিলেবাস কমিটি মূলত দেখছে কোন কোন বিষয় বা অধ্যায় কমিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে কোন সমস্যা হবে না। এটাও মাথায় রাখছে যাতে এমন কোনও অধ্যায় বা বিষয় কমিয়ে দেওয়া না হয়, যার জেরে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সেই বিষয় সম্পর্কে বা অধ্যায় সম্পর্কে কোনও ধারণাই তৈরি হবে না। সব মিলিয়ে এই সমীক্ষায় এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা।
SOMRAJ BANDOPADHYAY