সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোন শিক্ষক শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মীদের সর্দি কাশি হলে তাঁকে স্কুলে আসতে হবে না (Omicron in West Bengal)। কোন রকম লক্ষণ তৈরি হলে সেই শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষক কর্মীকে অবশ্যই করোনা টেস্ট করতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসা পর্যন্ত তাঁকে স্কুলে আসতে দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কারোও রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তিনি যে জায়গায় বসেন বা যে বিষয়গুলিকে স্পর্শ করছেন, সেগুলো স্যানিটাইজ কর তে হবে। তবে, স্কুল বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই যদি না স্কুল থেকে কোন কোভিড সংক্রমণ হয়। এদিন এমনই নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রত্যেকটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'স্কুল কলেজ বন্ধ করতে বলিনি...' ওমিক্রন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি বার্তা
যে ভাবে করোনার (Covid 19 Third Wave) তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা দেশে, তাতে স্কুল কলেজ খুলে রাখার সিদ্ধান্ত পুনরায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ বুধবারই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ওই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লে স্কুল কলেজ ফের বন্ধ হতে পারে বলে সম্ভাবনা উসকে দেন তিনি। তবে, পুরোটাই যে 'রিভিউয়ের' ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২৫ ডিসেম্বরের নিয়মে বদল, বর্ষশেষে 'আলাদা' হবে পার্ক স্ট্রিট! না জানলে পস্তাবেন...
তবে, তা নিয়ে কিছুটা ধন্দ তৈরি হওয়ায় বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে ফের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''স্কুল কলেজ আমি বন্ধ করতে বলিনি। কিন্তু ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। স্কুলেও করোনা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উপর রিভিউ করতে বলেছি। প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই সব কিছু বন্ধ করার দরকার নেই। স্কুলের পরিস্থিতি, কলেজ পরিস্থিতি সবদিকে নজর দেওয়া হবে।'' এবার স্কুলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাও দিয়ে দিল স্কুল শিক্ষা দফতর।