সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর , মে মাসের শুরুতেই অর্থাৎ আর এক-দু সপ্তাহের মধ্যে চলতি শিক্ষাবর্ষের টেট পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ৷
বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে পাওয়া যাবে ফর্ম ৷ অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও আবেদন করা যাবে ৷
তবে চলতি বছর থেকে টেট পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাই ৷ আরসিআই প্রদত্ত ডি.এড সমতুল ডিগ্রিধারীদেরও আবেদনের জন্য যোগ্য বলে মান্যতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ ৷
advertisement
তবে এখানে উঠে আসে সবথেকে উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন ৷ ফর্মফিলাপ বা আবেদনকারীর যোগ্যতামান সম্বন্ধে জানা গেলেও এখনও নির্দিষ্ট ভাবে জানানো হয়নি কবে হবে টেট পরীক্ষা ৷
এর আগে চলতি বছরের অগস্টে টেট পরীক্ষা হওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও এদিন পর্ষদ জানিয়েছে, আবেদন পর্ব সম্পূর্ণ হওয়ার পরই ঘোষণা হবে টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ ৷ মে মাসে টেট পরীক্ষার যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তাতে পরীক্ষার তারিখের কোনও উল্লেখ থাকবে না ৷ আবেদনপত্র জমা শেষেই জানানো হবে পরীক্ষার দিন ৷
মে মাস জুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ চলবে।টেটের ওয়েবপেজ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। সমস্ত আবেদনপত্র জমা পড়ার পরই পরীক্ষার দিন জানানো হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে মূলত কতজন পরীক্ষার্থী আবেদন করবেন তা দেখেই পরীক্ষার দিন ঠিক হবে। তবে জুনের আগে প্রাথমিকের টেট নেওয়া যে সম্ভব নয় তা কার্যত নিশ্চিত।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু থেকেই মামলা ও বিতর্কের বেড়াজালে পরিবেষ্টিত ৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষ পর্বেও চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া নানা মামলার শুনানি ৷
প্রথম থেকে একের পর এক মামলার ফাঁসে জড়িয়ে পড়ছে টেট পরীক্ষা ৷ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ অবশেষে জট মুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতর ৷ সমস্ত অভিযোগ ও বিতর্কের অবসান ঘটাতে ফের টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখনও প্রায় ২৫ হাজার শূন্যপদ রয়েছে ৷ সেই জন্য এবছর ফের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে ৷
এতেই ক্ষুব্ধ শেষ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ টেট পরীক্ষার্থীরা ৷ তাদের দাবি, টেট উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কেনও তাদের নিয়োগ না করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে !