এদিন বাঁকুড়ায় বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ৷ মঙ্গলবার শালতোড়ায় নেতাজি সেন্টেনারি কলেজে গণনা চলাকালীন বিজেপি শিবিরের পাশে নিজের গাড়ি দাঁড় করিয়ে বসেছিলেন বিধায়ক। সেই সময় আচমকাই বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বাধা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন বলে দাবি পদ্ম শিবির সূত্রের।
advertisement
আরও পড়ুন: কার দখলে বাংলার গ্রাম? পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল লাইভ দেখুন শুধুমাত্র নিউজ ১৮ বাংলা-য়
ভোটপর্বের শুরু থেকেই হিংসার খবর এসেছে মুর্শিদাবাদ থেকে৷ ভোটের দিন শুধু এই জেলা থেকেই মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। ভোট গণনার দিনও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জ৷ গণনাকেন্দ্রের বাইরে জমায়েত হঠাতে তৎপর হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷ জমায়েতের মধ্যেই ছিলেন সমশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চান। কিন্তু তাতে বাধা দেন বিধায়ক। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
গণনাকেন্দ্রের বাইরে আবির ছোড়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বাসন্তীতে৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীদের আবির ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে গণনাকেন্দ্রের সামনের ঘটনা। এর পরেই জমায়েত সরাতে লাঠি চালায় পুলিশ।
গণনার দিনেও উত্তপ্ত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভোটগণনা চলাকালীন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটছে ভাঙড়ে। গণনার দিন সকালে ভাঙড়ে গিয়েওছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
গণনার দিন ভোর থেকেই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি শুরু হয় ডায়মন্ড হারবারে৷ বেলা বাড়লেও গণনাকেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজি চলতেই থাকে বলে অভিযোগ৷ ঘটনাকে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও দেখুন: নিজের ঘরেই হার আরাবুল ইসলামের! গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘হতেই পারে!’
কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের চিলাখানা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলাখানা মাছ বাজার থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয় এদিন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভার ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘চিলাখানার মানুষ শান্তিপ্রিয়। ২০১৮-র মতো ২০২৩-এও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।’’
মঙ্গলবার ধনেখালির কৃষাণ মাণ্ডি গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুনর্নিবাচনের দাবি জানান৷