আইনমাফিক ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর। তারপর পঞ্চায়েতে প্রশাসক নিয়োগের বিষয় নিয়ে আইনি ধোঁয়াশা রয়েছে। এককালীন তিন মাস প্রশাসক নিয়োগ করা যেতে পারে। ২০১৮ সালে মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত বোর্ড একই দিনে গঠন করা হয়নি।
আরও পড়ুন- বহু বছর পর শশ রাজযোগ তৈরি করেছে শনির গোচর! এই সব রাশির জীবনে আসছে আনন্দ
advertisement
জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দিনে তারা কার্যভার গ্রহণ করে। ফলে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদের মেয়াদ বিভিন্ন দিনে শেষ হবে। সবচেয়ে বেশি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুলাই, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের দিনও বিভিন্ন হবে। নবান্ন কর্তাদের একাংশের কথায়, সঙ্কট কাটাতে কলকাতা পুরসভার মতো ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশাসক বসাতে পঞ্চায়েত আইনের চালু বিধির সংশোধন একমাত্র পথ। এক্সিকিউটিভ অর্ডার ইস্যু করে যা সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ২৫ এপ্রিল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টানা দু’মাস এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। গরমের মধ্যেই দুয়ারে সরকার, দিদির দূত কর্মসূচির মতোই প্রতিটি ছোট এলাকায় মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তার সমাধানে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো তৃণমূল কংগ্রেসের এই নয়া কর্মসূচি শেষ হবে ২৫ জুন। ফলে এটা নিশ্চিত যে এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করবে না। তারপর ভোট ঘোষণা হলে কোনওভাবেই জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ভোট করা সম্ভব হবে না। সেই সময় বর্ষা নামবে। ভোট করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।