এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূল ভীত। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই, তা বুঝতে পেরেছে৷ তাই শান্তিপূর্ণ ভোট না করে ভোট লুটের কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে না। বদলা নয় বদল চাই বলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন সবাই দেখছে।’’
advertisement
অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথাতেও শোনা যায় সেই একই সুর৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোট লুটের ব্যবস্থা করতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। একদিকে চাকরি লুটের তদন্ত বন্ধ করার জন্য সাধারণ মানুষের টাকায় কোর্টে আইনি লড়াই করছে, অন্যদিকে এবার মানুষের টাকা নিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য দ্বারস্থ হল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। এটা অত্যন্ত লজ্জার। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনায় শাসকদল, সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এত ভয় কিসের?’’
শমীক ভট্টাচার্য এ-ও বলেন, ‘‘মানুষের ভোটদানের অধিকারকে বাজেয়াপ্ত করার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে সরকার ও কমিশন। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের একেবারেই ভরসা নেই।’’ পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মামলায় হাইকোর্টের রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ রাজ্যের তরফেও পৃথক মামলা করা হয়েছে বলে খবর৷
আরও পড়ুন: নেহরু মিউজিয়ামের নাম বদলে দিল কেন্দ্র! তুমুল বিতর্ক, বাকযুদ্ধে খাড়্গে-নাড্ডা
শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আলাদা আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয় রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের তরফে। মামলায় কমিশনের মূল বক্তব্য, ‘স্পর্শকাতর বুথের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মূল্যায়ন চলছে। রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে’। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতায় মামলা হতে পারে ধরে নিয়ে আগে ভাগেই ক্যাভিয়েট ফাইল করেছে বিরোধী দল বিজেপি ও কংগ্রেস। এখন দেখার, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত কী নির্দেশ দেয়।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী