এদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার নামখানার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, ভাঙড়ের অশান্তির পিছনে তৃণমূল কোনও ভাবেই দায়ী নয়৷ বরং কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন এই যাবতীয় অশান্তির মূলে রয়েছে বিরোধীরাই৷
আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, তুমুল বোমাবাজি! মৃত্যু ISF কর্মীর, একই দিনে পঞ্চায়েতের বলি ৩
এবছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘‘কী করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।’’
advertisement
তাঁর কথায়, ‘‘বলছে গোটা বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দাও। রাম-বাম-শ্যাম আর কিছু গুন্ডারা এই সব করছে। কোনও রাজ্য দেখান, যেখানে এত শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়ন হয়েছে।’’
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন বাম আমলের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেও মমতা৷ বলেন, ‘‘২০০৩ সালে ৭০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন।’’
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ঘিরে তুমুল উত্তপ্ত চোপড়া! গুলিবিদ্ধ ৩, মৃত্যু একজনের, ৬ দিনে পঞ্চায়েতে বলি ৩
প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবারই ছিল পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ সেই শেষ লগ্নে দাঁড়িয়েও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া৷ তার কয়েক ঘণ্টা পরে ফের অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়েও৷
চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে মৃত্যু হয় এক কংগ্রেস কর্মীর৷ অন্যদিকে, ভাঙড়ে মনোনয়ন ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ বোমা-গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিন জনের৷
এদিন ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার শেষদিন৷ সেই উপলক্ষে আয়োজিত নামখানার সভা মঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই তিনি এই কথাগুলি বলেন৷