পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে প্রধান মুখ হিসাবে রাখা হয়েছে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদিকে৷ তাঁর পাশে রয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ ইশতেহার পত্রের বাঁদিকে মোদি-নড্ডার মতোই ডানদিকে রাখা হয়েছে সুকান্ত-শুভেন্দুর ছবি৷ তবে ইশতেহার পত্রে কোত্থাও নেই দিলীপ ঘোষ৷ সেই দিলীপ ঘোষ, যার হাত ধরেই মূলত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই সাম্প্রতিক উত্থান৷
আরও পড়ুন: গোঁজ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা! ১৮৯ জনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল
advertisement
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর৷ বিজেপির সেই প্রখ্যাত সাংগঠিনক রদবদল৷ রাতারাতি দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় সুকান্ত মজুমদারকে৷ যে সুকান্ত মজুমদারের নামই তখন কেউ সে ভাবে শোনেনি৷ তারপর থেকেই ঘরোয়া রাজনীতি তো বটেই বঙ্গ রাজনীতিতেও দিনে দিনে অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে দিলীপ ঘোষের নাম৷
উপরন্তু, শুভেন্দু এবং শুভেন্দুর হাত ধরে বঙ্গ বিজেপিতে এই প্রাক্তন তৃণমূলীদের স্রোতকেও তেমন মেনে নিতে পারেননি দিলীপ৷ প্রকাশ্যেই একাধিকবার আদি বিজেপি নেতাদের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ ধীরে ধীরে বঙ্গ বিজেপিতে স্পষ্ট হয়েছে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব৷
কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপি শিবিরকে বারবারই ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রশ্ন, যেখানে শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপকে মুখ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির, সেখানে দলের সংকল্পপত্রে দিলীপ ঘোষের ছবি কেন রাখা হল না? সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের ছবি না থাকা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলেরই একাংশ।
এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি৷ বিজেপির সল্টলেক অফিসের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাহুল সিনহার মতো নেতারা৷
