এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে নওশাদের দাবি, ‘‘কেউ যদি বলে, ভাঙড়ের মানুষের স্বার্থে প্রার্থী তুলে নিতে.. মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন, প্রার্থী তুলে নিতে, ভাঙড়ের মানুষের স্বার্থে, আমি আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলব, তাঁদের কনভিন্স করার চেষ্টা করব, প্রার্থী তুলে নেব৷’’
আরও পড়ুন: জেলের ভিতরে কী করেন কুন্তল! এবার সেটাও জানতে চায় CBI, আদালতের বড় নির্দেশে তোলপাড়
advertisement
যদিও আইএসএফ নেতার এই বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত নওশাদের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলবেন! উনি (নওশাদ) বোধহয় নিজের অবস্থানটা নিয়ে একটু বেশি ভাবছেন…আসলে বিজেপি, অতি বামের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আতান্তরে পড়েছেন, সামলাতে পারছেন না, সেই কারণে প্রার্থী তুলে নিতে চাইছেন৷’’
আইএসএফ-এর শরিক বাম-কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চায়নি৷ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টা যে নেতা বলেছেন,এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত৷ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীরও মত খানিক সেরকমই৷
আরও পড়ুন: দারুণ দুর্যোগ! উত্তর সিকিমে ভয়াবহ অবস্থা, আটকে বহু পর্যটক, উদ্ধারে তৎপর সেনা
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূল টার্গেট নিয়েছে ২৫ হাজার প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে হবে৷ সেই কারণে ভাঙড়কে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই এই ধরনের অশান্তির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে৷’’
অন্যদিকে, এদিনই নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধায়ক নওশাদ৷ তাঁর আইনজীবীর দাবি, তিনিই একমাত্র বিধায়ক, যাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নেই৷ ভাঙড়ের যা পরিস্থিতি, তাতে নওশাদের নিরাপত্তায় নির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী৷