সোমবার সকালেই নতুন চমক। কোচবিহার থেকে কলকাতা পৌঁছে রাজভবন যাননি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছে সোজা চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে খুন হয়েছেন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। রবিবার কোচবিহার থেকে ফেরার পথে পদাতিক এক্সপ্রেসেই ফোনে নিহত যুবতৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। আজ, সোমবার সকালে কলকাতা পৌঁছে সরাসরি চলে যান বাসন্তীতে৷ যে অঞ্চলে জিয়ারুল খুন হয়েছেন সেই এলাকায় পরিদর্শন করার পাশাপাশি এলাকার গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
advertisement
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলার পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে না গেলেও পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের ক্যানিংয়ে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তাঁদের সঙ্গে বিশদে কথা বলেন৷ পাশাপাশি, ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও জিয়ারুলের পরিবারের হাতে তুলে দেন। তারপরেই প্রাক পঞ্চায়েত হিংসা প্রসঙ্গে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে৷
এদিন রাজ্যপাল কড়া ভাষায় বলেন, “রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কে হিংসা ছড়াচ্ছে সেটা বড় কথা নয়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটাই বড় বিষয়। কারা অশান্তির পিছনে তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত।” আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কোচবিহারের দিনহাটায় আহত তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ সেখানেও হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, যেখানে যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটবে, তিনি ছুটে যাবেন। সূত্রের খবর, তিনি মুর্শিদাবাদেও যেতে পারেন।
সম্প্রতি, রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি যেন নিরপেক্ষভাবে ভোট পরিচালনা করেন। সূত্রের খবর, ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, শুধুমাত্র রাজভবনই নয়, ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে শুরু করে এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজভবনের নালিশ রুম, যেখানে যে অভিযোগগুলি আসছে প্রয়োজনে অভিযোগকারীদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়