নবান্ন সূত্রে খবর সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের একটি রিপোর্ট উঠে আসে নবান্নের কাছে মাতৃত্বকালীন মৃত্যু নিয়ে। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় নবান্নের প্রশাসনিক মহলে। রিপোর্টে উঠে আসে ১২ জনের মাতৃত্বকালীন মৃত্যু হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু তার কারণ হিসেবে উঠে আছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির প্রসঙ্গ। তার জেরেই সোমবার কড়া নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে মুখ্য সচিব বলেন মাতৃত্বকালীন মৃত্যু আটকাতে যদি এখনই এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা যায় তাহলে এটা একটা "অ্যাকাডেমিক প্র্যাকটিসে" পরিণত হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : 'হাওয়া' ঝড়ে উত্তাল নেটদুনিয়া! প্রকাশ্যে আসতেই কাঁপাল ‘হাওয়া’র নতুন গান! শুনে দেখুন
পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও সোমবার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব বলে নবান্ন সূত্রে খবর। গত ২ রা আগস্ট মাতৃত্বকালীন মৃত্যু নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে প্রতিটি জেলা থেকেই মাতৃত্বকালীন মৃত্যু কত হয়েছে এবং তার কারণ কী? তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয় জেলাগুলির থেকে। নবান্ন সূত্রে খবর জেলাশাসকের সেই রিপোর্টের প্রশংসা করেছেন মুখ্য সচিব। কিন্তু তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিকবার মুখ্য সচিব মাতৃত্বকালীন মৃত্যু ঠেকানোর জন্য জেলাগুলিকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কী কারণে মৃত্যু হচ্ছে তার তথ্য বিশ্লেষণ করেও জেলাগুলিকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। কিন্তু এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের গাফিলতিকে যে এড়িয়ে যাওয়া হবে না তা এদিন মুখ্য সচিবের ইঙ্গিতে কার্যত স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির রিপোর্ট ও জমা পড়েছে নবান্নে। নবান্ন সূত্রে খবর সেই বিষয় নিয়ে নবান্নের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য সাথী নিয়েও সম্প্রতি মুখ্য সচিব চিকিৎসকদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও স্বাস্থ্য দফতরকে নজরদারি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এবার যে নবান্নের নজরে মাতৃত্বকালীন মৃত্যু ঠেকানো এদিন তা মুখ্য সচিবের নির্দেশের মাধ্যমে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়