পাশাপাশি জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের জেলার অধীনে কোথায় কোথায় বাজি বিক্রি, উৎপাদন এবং মজুত করে রাখা হয় তার তালিকা তৈরি করতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে, জেলাশাসকরা তা ঠিক করবেন। বাজি কারখানার তালিকা তৈরি করে বেআইনি কারখানা বন্ধ করতে হবে। বৈধ কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। বাজি কারখানার জন্য পরিত্যক্ত জমি চিহ্নিত করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ খাবার…! বাড়িয়ে দেয় ‘ক্যানসারের’ ঝুঁকি, রোজ রোজ খাচ্ছেন নাকি? চমকে দেবে ‘গবেষণা’
জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয় বাজি কারখানার তালিকা তৈরি করতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত নিয়ম রয়েছে, ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি এবং বাজির মশলা তৈরির জন্য লাইসেন্স দেন জেলাশাসক। ১৫ কেজি থেকে ৫০০ কেজি হলে ‘কন্ট্রোলার অব এক্সপ্লোসিভস’-এর কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম থাকে। কিন্তু তারও বেশি ওজনের বাজির ব্যবসা যদি করতে হয়, তাহলে লাইসেন্স দেন ‘চিফ কন্ট্রোলার’। পাশাপাশি, মশলা তৈরি, বাজি তৈরি এবং তা প্যাকেটবন্দি করার কাজও আলাদাভাবে করার জন্য লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক।
পরিবেশ দফতরের হিসাব বলছে, এই সব কাজের জায়গার মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত ১৫ মিটার করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তারা এগুলি কিছুই দেখে না বলে অভিযোগ উঠছে। আর্থিক লেনদেনে সব চাপা পড়ে যায়, অভিযোগ এমন বিস্ফোরকও রয়েছে। যে কারণে এই সব নিয়ম থেকে যায় শুধু খাতায়-কলমেই।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ দফতরের আরও একটি তথ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র সবুজ বাজি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে যাতে বেআইনি বাজি বিক্রি করা না হয়, তার জন্য আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তাহলে এই বাজি বিক্রি হচ্ছে কী ভাবে? কারণ সবুজ বাজি ছাড়া বাকি সবই বেআইনি। কিন্তু রাজ্যে সবুজ বাজি তৈরির জন্য ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (নিরি) ছাড়পত্র দিয়েছে মাত্র ২৬টি সংস্থাকে। ফলে বাকিরা বেআইনিভাবে শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই বেআইনি বাজি কারবার করে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ।