পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু আলবার্ট স্ট্রির্ট রোডে রাহুল থাকেন মা ও বাবার সঙ্গে। বাবা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতেন। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। রাহুল ব্যাঙ্কিং স্টার্ট আপের কাজ করেন ব্যাঙ্গালুরুতে। ব্যাঙ্গালুরুতে স্কুলিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন রাহুল। রাহুলের দিদার বাড়ি লেক গার্ডেন্স এলাকায়। দিদাকে দেখতে কিছু দিন আগে রাহুল কলকাতায় আসে। পুলিশের দাবি, পার্টি করে ফিরছিলেন রাহুল। মত্ত অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানো জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িতে এক বন্ধু ( যুবক )ও এক যুবতী ড্রপ করার জন্য আসছিলেন। যাদবপুর সুলেখা মোড়ে দিক থেকে হোন্ডাসিটি গাড়িটি ঝড়ের গতিতে চলছিল। সে সময় আচমকা ধাক্কা মারে একটি খাবারের দোকান ও চায়ের দোকানে। সেখানে একটি বাইক ছিল দাঁড় করানো ছিল। সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছিটকে পড়েন থমাস সমী কর্মকার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এক ১৩ বছরের শিশু-সহ বাকি পাঁচজন আহত হন। নিয়ে যাওয়া হয় বাঘাযতীন হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যান্ড পার্টির তালে উদ্যাম নাচ! মৃতদেহ কাঁধে এলাকা পরিক্রমা! অভিনব শ্মশান যাত্রা সাগরে
লালবাজারের FSTP আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। রাতেই গ্রেফতার করা হয় রাহুলকে। ধৃতকে রবিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ঘাতক হোন্ডাসিটি গাড়িটি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলটি বাজেয়াপ্ত করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। সরকারি আইনজীবী রাধা নাথ রং-র দাবি, যে কয়েকটা বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে এটা অন্যতম ঘটনা। লাইসেন্স ছিল না, মত্ত অবস্থায় ছিল রাহুল। ঘটনায় একজন মারা গিয়েছেন, কয়েকজন আহত। এই ঘটনায় ঘাতক গাড়ির ফরেন্সিক, মেকানিক্যাল টেস্ট এবং ঘটনার পুনর্নির্মান প্রয়োজন। ফলে পুলিশ হেফাজত আবেদন জানান আদালতের কাছে।
আরও পড়ুন: সন্তানের পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন কিনেছিলেন বধূ, তারপর যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটল...
অন্যদিকে, অভিযুক্ত আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচাৰ্যর পাল্টা দাবি, এটা একটা দুর্ঘটনা। উনি জেনে বুঝে এ কাজ করেনি। ধৃতের বিরুদ্ধে ২৭৯, ৩০৮, ৩০৪পি-ll, ১৮৫ MV act-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের।দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আলিপুর আদালত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
Arpita Hazra