যদিও কখনও এই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য কোথাও করেননি৷ বরং হুগলি জেলার শিল্পাঞ্চল সহ শহরাঞ্চলের সংগঠনে তার ওপরেই ভরসা রেখেছিল শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের মতে ২০১৪ হোক বা ২০১৯ লোকসভা ভোটে জেলার শ্রীরামপুর আসনে বিজেপি হাওয়া রুখতে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি৷ দু'বারই জাঙ্গিপাড়া আসন থেকে ভালো ভোটের ব্যবধান পেয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। স্পষ্ট বক্তা। বিধানসভায় একাধিক ইস্যু নিয়ে তিনি আলোচনায় অংশ নেন। বুথ স্তর অবধি সংগঠনে জোর৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত হাতের তালুর মতো চেনেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতারণা করে স্ত্রী গ্রেফতার, অবসাদে কী মারাত্মক পরিণতি স্বামীর! শিউরে উঠল চন্দননগর
এলাকায় দক্ষ জনসংযোগ। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বিরোধী দলের নেতারাও তোলেন না। এমনই এক ব্যক্তিকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হল। রাজনৈতিক মহলের মতে পার্থ চ্যাটার্জি ইস্যুতে লাগাতার যখন তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসনকে আক্রমণ করে যাচ্ছে বিরোধীরা। তখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদেরকেই মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসা হল৷
আরও পড়ুন: CID-র ক্ষমতা নেই, সিবিআই চাই! বিধায়কদের লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধারে হাই কোর্টে জোর সওয়াল
সেদিক থেকে দেখতে গেলে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বাকিদের চেয়ে এগিয়ে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি মন্ত্রী হয়ে যাওয়ায় প্রচারে জোর৷ অন্যদিকে সাংগঠনিক কাজেও নানা ভাবে সাহায্য করতে পারবেন তিনি। স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে রাজ্য মন্ত্রী সভার সদস্য করেছেন। আমি পরিষেবা মূলক কাজ যা যা রাজ্য সরকারের আছে তা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করব। মানুষকে সাহায্য করাই আমার মূল লক্ষ্য৷