সূত্রের খবর, ১৯ নভেম্বরের আগে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে না। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেটা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি হিংসা নিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে কমিশন-রাজ্য দু'পক্ষেরই। রাজ্যে বিধানসভা ভোটপর্বে এখটানা হিংসার অভিযোগ করে এসেছে বিরোধীদল। কমিশন চায় না পুরভোটে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠুক।
কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোটের দিন স্থির করে বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সূত্রের খবর ১৯ ও ২২ ডিসেম্বর ভোট ও ভোটের ফলের দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। সাধারনভাবে ভোটের জন্য ২৪/২৫ দিন সময়ই যথেষ্ট। সেই নিরিখে ১৯ নভেম্বরের পর ভোট ঘোষনা হলে, কোন সমস্যা নেই, মনে করছে কমিশন।
advertisement
সূত্রের খবর ভোটের দিন নিয়ে মৌখিক সম্মতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দীপাবলির পর লিখিতভাবে রাজ্য সরকারকে সম্মতিপত্র পাঠাবে কমিশন।
ভোটের গণনা ২২ ডিসেম্বর হবে, আচমকা কোনও পরিবর্তন না হলে এটাই চূড়ান্ত।
আরও পড়ুন-কাশ্মীর-শারজা উড়ানকে আকাশসীমা ছাড়বে না পাকিস্তান, ক্ষোভে ফুঁসছে উপত্যকা...
এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত কখ্য অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর যে ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে , সেই ভোটার তালিকা ধরেই ভোট হবে। এ জন্য রাজ্য,মুখ্য,নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে ভোটার তালিকা চাওয়া হয়েছে। এরপর সেই ডাটাবেসকে পুরভোটের উপযোগী করতে হবে। এবং পুরভোটের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যেটা ধরে ভোট হবে।
আরও পড়ুন-আফগানদের হারিয়ে উন্নতি হয়েছে নেট রান রেটে, বিরাটদের সেমিফাইনালে ওঠার অঙ্ক কী ?
ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটেই কোভিডের বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করছে কমিশন। ইসিআই-এর গাইডলাইন ধরেই পুরভোট করা হবে। তবে এবার ঝুঁকি এড়াতে সব ভোট কর্মীদের ডবল ডোজ ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করতে চায় কমিশন।
সূত্রের খবর পুরভোটের সময়ও বাড়বে, বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনের মতই হবে বিষয়টা। অর্থাৎ সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ঃ৩০ মিনিট-এই মেয়াদে চলবে ভোটগ্রহণ।
দীপাবলি, ভাইফোঁটা চুকলেই পুরোদমে পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক, ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ-সহ যাবতীয় কাজ শুরু হবে।