রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল বোর্ড গঠনের শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেই সময়ও নির্বাচনে অশান্তি এবং কারচুপির অভিযোগের পর নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এরপর ফের আদালতের নির্দেশ মেনেই সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। চলবে চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত। আদালতের তরফে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি এবং ভোট গ্রহণস্থলে সিসিটিভি লাগানো নিশ্চিত করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: রেহাই নেই বৃষ্টির থেকে, আগামী ৩-৪ দিনের আবহাওয়া নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
এই ভোটের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক চিকিৎসক ভোটদাতার বাড়িতে পোষ্টের মাধ্যমে ব্যালট পেপার পৌঁছবে। এদিন ভোট গ্রহণের সময় দেখা যায় বেশ কয়েকজন বান্ডিল বান্ডিল ব্যালট ব্যাগ থেকে বের করে ড্রপবক্সে ফেলছে। যদিও নিয়ম এক ব্যক্তি একটি ব্যালট খামবন্দি অবস্থায় ড্রপ বক্সে ফেলবে বা পোস্টের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। কিন্তু একসঙ্গে অনেকগুলো ব্যালট, একাধিক ব্যক্তি ড্রপ বক্সে ফেলতে থাকায় অপরপক্ষ রুখে দাঁড়ায়। মূলত জনা ৩ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বহু সংখ্যক ব্যালট ড্রপ করার অভিযোগ ওঠে। রিটার্নিং অফিসার অভিযোগ পেয়ে বাধা দিতে এলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। গালিগালাজ শুরু করে দেন বলেও অভিযোগ। যদিও এদিন এই বিষয় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার কিছু বলতে চান নি।
আরও পড়ুন: 'বিসর্জনের বাজনা বেজে গেছে, রোজ রোজ...', আরও বড় 'আশঙ্কা' উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে অর্জুন দাশগুপ্ত জানান, সম্ভবত শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কিছু লোক আজ এসে কয়েকশো ব্যালট পেপার অবৈধ ভাবে জমা করার সময় আমরা রুখে দাঁড়াই। আমরা কত দিন আর এইভাবে পাহারা দিতে পারবো জানি না।আমরা এই ধরনের দুষ্কৃতী মূলক আচরণ আশা করি নি । এই বিষয়ে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে সজল বিশ্বাস জানান রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের আজ একটি কালা দিবস।
এই সংগঠনেরই আরও এক চিকিৎসক প্রার্থী অংশুমান মিত্র বলেন এই নির্বাচন অতীতের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেও হার মানাবে। পুরো বিষয় নিয়ে শাসক দলের তরফে সুদীপ্ত রায় জানান যারা এই অভিযোগ করছেন তাঁদের সঙ্গে চিকিৎসকরা নেই। তাঁদের হার নিশ্চিত জেনেই এই অভিযোগ করছেন। শাসক দলের আরও এক চিকিৎসক তথা প্রার্থী কৌশিক বিশ্বাস বলেন যারা অভিযোগ করেছেন তাঁদের হার নিশ্চিত জেনেই এই সমস্ত অভিযোগ।