বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে তাঁর সম্মতি নেয়নি রাজ্য। একটিতেও এই উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার আইনি বৈধতা নেই বলেও দাবি তুলেছেন তিনি। সেই কারণে যে কোনও মুহূর্তে এটি বাতিল করতে পারেন বলেও সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল।
advertisement
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়েছিল রাজ্য ও রাজভবন। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে উপাচার্যদের অনুপস্থিত থাকা নিয়ে রাজ্যপাল মত প্রকাশ করার পর পাল্টা মত প্রকাশ করেছিলেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছিলেন, আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসা যায় কি না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যে কেরলে এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ রাজ্যেও তা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পর ফের রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যপাল পদটা রাখাই কী দরকার, মুখ্যমন্ত্রীকেই সব পদে বসিয়ে দিলেই তো হয়। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে চলে এই সংঘাত।
আরও পড়ুন: করোনা বাড়লে ফের বন্ধ স্কুল কলেজ, গঙ্গাসাগরের সভায় নির্দেশ মমতার
এর আগে দার্জিলিংয়ের হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ও রাজ্যের রাজ্যপাল সংঘাত প্রকট হয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্শিয়াং-এর প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রসঙ্গ উঠেছিল। হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্যপালের কাছে নাম পাঠানো হলেও সেই উপাচার্যের নাম অনুমোদন করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয় একাধিকবার রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছিল বলে উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর পাওয়া যায়। হিল বিশ্ববিদ্যালয় পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়োগ রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠানো হলেও সেই ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ ভবন থেকে বলে বারবার সরব হয় উচ্চ শিক্ষা দফতর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়