গত ৯ অগাস্ট, আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য তথা দেশ, পথে নামেন রাজ্যের অধিকাংশ ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। বিশেষ করে রোগী কল্যাণ সমিতিতে বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। এরপরেই সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা জানান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন করে ওই সমিতি গঠন হবে।
advertisement
সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার নতুন করে রাজ্যের ২৪টি মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি জনপ্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জারি করা বিবৃতিতে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গেল আরজি করে রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি জনপ্রতিনিধি হয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। এসএসকেমে সরকারি প্রতিনিধি করা হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। এনআরএসে সরকারি জনপ্রতিনিধি হিসাবে থাকছেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শশী পাঁজা, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে জাভেদ খান, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি প্রতিনিধি নাম রয়েছে মদন মিত্রের।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার জয়! বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে কলকাতার দোকান-রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে!kmc-a
এ ছাড়া মালদহ মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি হয়েছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাম রয়েছে খোকন দাসের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গৌতম দেব, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে অরূপ চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অপূর্ব সরকার, রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কৃষ্ণ কল্যাণী, রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অভিজিৎ দে ভৌমিক, আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে মিতালি বাগের নাম সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০ টাকা বাড়ছে মেট্রো ভাড়া! কোন রুটে, কোন সময় চড়লে গুণতে হবে অতিরিক্ত টাকা? জানুন
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। কিন্তু, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আনা হয়েছিল শান্তনু সেনকে। অন্য দিকে, বিভিন্ন বিতর্কের মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এ বার তাঁদের কাউকেই রোগী কল্যাণ সমিতিতে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে শঙ্কর সিং-কে সরিয়ে দিয়ে সরকারি প্রতিনিধি করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। এটাও একটা চমক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
