পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়, যে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, ভেন্টিলেশনের নল ঠিকমত না খোলায় রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এমনকি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এই হাসপাতলে কোনও চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বৃদ্ধকে দেখেননি। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বৃদ্ধকে। এরপর সেখানেই কয়েকদিন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
রোগীর মৃত্যুর পরই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস-র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ করেন রোগীর পরিবার। রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয় তাদের বক্তব্য সোনার জন্য। পাশাপাশি রোগীর পরিবারকেও শুনানিতে ডেকে তাদের বক্তব্য শোনা হয়। বুধবার রাতে কমিশন দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় জানান।
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর পরিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দ্বারস্থ হওয়ার আবেদন করে স্বাস্থ্য কমিশন। এর পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতি হাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস্ কে রোগীর পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রায়ে যদি সন্তুষ্ট না হয় রোগীর পরিবার, তবে তা আবারও রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পাবে পরিবার- এমনও জানান হয়।
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'এ ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। সমস্ত কিছু পরিদর্শন করে আমাদের পর্যবেক্ষণ হাসপাতালে চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে। সমস্ত সময়ই আমরা রোগীর স্বার্থে সাধারণ মানুষের পাশে আছি। কারও যদি মনে হয় এ চিকিৎসা পরিষেবায় তাদের সমস্যা হয়েছে, নির্দ্বিধায় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।'
ABHIJIT CHANDA