কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলভিউ হাসপাতালে (Bellevue Clinic) নার্সদের (Nurse) দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন এক চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রী। পাশাপাশি, ওই নার্সরা ঠিকমতো পরিষেবা দিতেন না বলেও অভিযোগ। ওই চিকিৎসক স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়।গাফিলতি প্রমান হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকয়ে অভিনব শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয় , তারা যেন বেলভিউ ক্লিনিকের পাশের একটি বৃদ্ধাশ্রমে একদিন বিলাসবহুল দ্বিপ্রাহরিক আহার বা লাঞ্চের ব্যবস্থা করেন। এবং সেই সময় যে সমস্ত নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তারা প্রত্যেককে যেন সে দিন বৃদ্ধাশ্রমে লাঞ্চের সময় উপস্থিত থাকেন।
advertisement
অন্যদিকে, প্রায় একইরকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর হেলথ ওয়ার্ল্ড (Durgapur Health World Privet Nursing home) হাসপাতালকেও। রোগীর নাম কস্তুরী ঘোষ। রোগীর অভিযোগ, করোনা পরীক্ষা করতে দেরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট দিতেও অনেক দেরি করা হয়। এমনকি আধার কার্ড না থাকার অজুহাতও ছিল। যদিও রোগীর পরিবারের দাবি, কয়েকদিন আগেই রোগী ওই হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন সমস্ত রকম ডকুমেন্টস সেখানে জমা ছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘোষ পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানায়। শুনানির পরে স্বাস্থ্য কমিশন দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালকে, কোনও সেবা প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা অনুদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ রোগীর পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোনও আর্থিক সহায়তা চায়নি।
AVIJIT CHANDA