তার জন্যে মোট ২৪০ টি সরকারি বাস চলাচল শুরু হয়। লকডাউন অধ্যায়ে যে সংখ্যক বাস চলেছে তাতে অসুবিধা হলেও বাস চলাচল করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারা গেছে। কিন্তু এক ধাক্কায় মাসের প্রথম দিন থেকে বহু লোক রাস্তায় নেমে পড়েন। বিভিন্ন দোকান, বাজার, অফিস খুলে যাওয়ায় যে অতিরিক্ত মানুষ রাস্তায় নামলেন তা ২৪০টি বাস দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। যার জেরে কামালগাজি, ডানলপ, ডালহৌসি বা এসপ্ল্যানেড বা পার্ক স্ট্রিট সব জায়গায় বাসের জন্য লাইন লম্বা হয়েছে বাসে জায়গা পাননি যাত্রীরা। অসুবিধার বিষয় যখন পরিবহণ দফতরের কানে গিয়ে পৌছয় ততক্ষণে অনেক অফিস চালু হয়ে গিয়েছে। অনেকের নামের পাশে ডিউটি রোস্টারে লেট পড়ে গেছে। তড়িঘড়ি আরও ১০০ বাস নামাতে বললেও যাত্রী সংখ্যার অনুপাতে তা অত্যন্ত কম। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত থাকে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসের সংখ্যা ৬০০ করে দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে এই ৬০০ বাস দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব। একই সাথে দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখতে। যদি দেখা যায় রাস্তায় লোক বেশি, বাস কম, তাহলে যেখানে বাস প্রয়োজন সেখানে বাস পাঠানো হবেইতিমধ্যেই ১৮ টা জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। মধ্যবর্তী সেই সব জায়গায় বাস রাখা হবে। একই সাথে দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যে যে বাস যেত সেই বাস আগামীকাল থেকে পাঠানো হবে না। সোমবার প্রায় প্রতি শিফটে ২৯৯ করে বাস পাঠানো হয়েছিল। ফলে কলকাতার রাস্তায় যাত্রীবাহী সরকারি বাস পেতে হিমশিম খেতে হল পরিবহণ নিগমকে। সেই অবস্থা যাতে পুনরায় আজ থেকে তৈরি না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে।
