এদিনের বৈঠকে,রাজ্যের শিল্প, ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের সচিব এবং বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন। ভূমি রাজস্ব দফতরের সচিব বৈঠকে বলেন, ওয়েষ্ট বেঙ্গল এস্টাব্লিস্টমন্ট রিক্যুইজেশন অ্যাক্টে শিল্পের জন্য যারা জমি নিয়ে ফেলে রেখেছে তাদের নোটিশ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। এই আইনে জমি নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে উৎপাদন না শুরু করলে শর্ত মাফিক কেড়ে নেওয়া যায়।
advertisement
কোনও সংস্থা উৎপাদন না শুরু করতে পারলেও কাজ শুরু করেছে দেখলে তখন বিষয়টি সহানুভুতির সঙ্গে দেখে রাজ্য সরকার। এই সময় প্রশ্ন ওঠে কিছু সংস্থা শিল্পের নামে দেওয়া জমির সবটাই সরকারের খাস জমি নয়। অনেক সময় কৃষি জমিও থাকে। মুখ্যসচিব বলেন, সেক্ষেত্রেও জমি কেড়ে নিয়ে কৃষি জমি স্থানীয়ভাবে পাট্টা দেওয়া হবে। কোনওভাবেই শিল্পের নামে জমি নিয়ে ফেলে রাখা যাবে না।
শেয়ার বাজারে আদানিদের অবস্থা টলমল হলেও তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তারাই তৈরি করবেন বলে রাজ্য সরকার আশাবাদী। তাই এই বন্দরকে কেন্দ্র করে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ এখন থেকেই শুরু করে দিতে চায় নবান্ন। এজন্য তাজপুর থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। এদিনের বৈঠকেও মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের বলেন,এই করিডোরের দু’পাশে পরে থাকা অকৃষি জমিকে এখনই চিহ্নিত করতে হবে।সেখানে শিল্প তালুক গড়ে তুলতে উৎসাহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এই দেশে 'লাল কালি' দিয়ে লিখলেই চরম বিপদ! কেন জানেন? সত্যিটা শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!
বিশেষ করে সিমেন্ট, ভোজ্য তেল,লোহ আকরিক শিল্পরে উপযোগী শিল্প বা অনুসারী শিল্প বিকাশে উৎসাহিত করতে হবে। এই অঞ্চলে শিল্প তালুক বা কারখানা থাকে তাহলে তাদের কাছে সরকারের ‘স্কিম ফর অ্যাপ্রুভড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে’(এসএআইপি) র সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন ব্যাঙ্ক শিল্পসাথী একজানলা নীতি গ্রহণ করেছে তার সুবিধা তারা যেন পায়। তিনি একই সঙ্গে জানিয়ে দেন অন্য জেলাগুলিতে অকৃষি জমি চিহ্নিত করতে হবহে। তা শিল্প অথবা মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে যুক্ত করতে হবে। কোনওভাবেই অকৃষি জমি ফেলে রাখা যবে না।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়