কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য এই ঘটনাবলী সম্পর্কে মাননীয় রাজ্যপালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। রাজ্যপাল উপাচার্যকে ছাত্র সমাজের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির প্রশাসন যাতে প্রশাসনিক নিয়মকানুন অনুসারে কঠোরভাবে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন২৬- এর নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত শক্ত করতে বিরোধী ঐক্যের ডাক বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের
advertisement
একই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা অবশ্যই ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই পরিচালিত হতে হবে। এই ব্যবস্থা করতেই হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরে রাজ্যপাল বলেন যে শিক্ষা কেবল কর্মসংস্থানের পথ নয়, বরং সভ্যতা, সামাজিক শিষ্টাচার, সহনশীলতা, শ্রদ্ধা এবং দায়িত্বশীল আচরণের জন্মস্থান।
শিক্ষা মানসিক বুদ্ধিমত্তা, সহানুভূতি এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের ক্ষমতা তৈরি করে। কসবার ল’কলেজে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কলেজ প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত দায়িত্ব হল শিক্ষার মন্দিরটি তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য – শিক্ষাদান এবং শেখার – প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এবং অসামাজিক উপাদানের আশ্রয়স্থলে পরিণত না হওয়া নিশ্চিত করা।
“যত শক্তিশালীই হোক না কেম কাউকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের দায়িত্বে বসান যাবে না। সে যতই ক্ষমতাবান হোক সে যেন না ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার অধিনে।
আইন সবার উপরে, এবং কোনও বহিরাগত শক্তিই সরকারি পদ্ধতি এবং নিয়ম দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। গভর্নর শিক্ষার্থীদের ভয় ছাড়াই তাদের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে কলেজ প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রসাশন এই বিষয়টা নিশ্চিত করবে।