সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই এই বিল বিধানসভায় পাশ হয়। তারপর থেকেই তা ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের অপেক্ষায়। যদিও যখন এই বিল পাস হয় তখন রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্যের দায়িত্ব ছিলেন লা গণেশন। তবে তিনি তাঁর সময়কালে বেশ কিছু বিলে স্বাক্ষর করলেও এই বিলের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। অবশেষে এই বিলে বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিলেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত এতদিন পর্যন্ত এসসি, এসটি শংসাপত্রের জন্য একবার আবেদন করা যেত। উচ্চতর কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন খারিজ করে দিলে আবেদনের সুযোগ ছিল না। নয়া এই বিলের হাত ধরে এবার খারিজের পরে আরও একবার আবেদন করা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ তেমনটাই আইনি সংস্থান রাখা হয়েছে সংশোধিত এই বিলে বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- তাপমাত্রা নামবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে, জমিয়ে শীত বাংলাতেও
আরও পড়ুন- ছাদ, গান, বাঙালি- ঐতিহ্যের পাঁচালির সপ্তম সুরে মজল শীতের শহর
আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে আদিবাসী সমাজের মন পেতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল ময়দানে নেমে পড়েছে। সেক্ষেত্রে এই তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলের হাত ধরে কতটা কাছে পৌঁছনো যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। সাম্প্রতিক সময় দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি। এমত অবস্থায় এই বিল কার্যকর হওয়ার পর খাতায়-কলমে কতটা উপকার পাবেন শংসাপত্র নিয়ে, তা নিয়ে এবার রাজ্যের প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে তৎপরতা।