এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে রাজ্যের বাসিন্দারা আগুন থেকে সাবধান হবেন কি করে। রাজভবনের পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকার। রাজভবনের মতে ‘‘সমাধানের চেয়ে সাবধানতা ভাল৷ ’’ প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ আগুন লাগলে কী করতে হবে? রাজভবনের পরামর্শ বলছে “ভয় পাবেন না, শান্ত থাকুন।” প্রতিকার অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী করতে হবে? রাজভবন বলেছে ‘‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে।’’ অর্থাৎ এই ভাবেই বিভিন্ন ভাগে ভাগে অগ্নি সুরক্ষা নিয়ে রাজভবনের তরফে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন– আরও শক্তিশালী ‘মোকা’ ! ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ-সহ ল্যান্ডফলের স্থান এবং সময় জেনে নিন
আগুন লাগার কারণ কী, তা নিয়ে ১০টি কারণের উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। আর সেই দশটি কারণের মধ্যে চতুর্থ কারণ বলছে, ‘‘ইচ্ছা করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকি বীমা পাওয়ার জন্য এমন করতে পারেন কেউ। আবার না জেনে ভুল করে আগুন লাগানো তো একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।’’ কিন্তু রাজভবনের তরফে হঠাৎ করে এই ধরনের পরামর্শ কেন জারি করা হল? ওই বিবৃতিতে অবশ্য তা স্পষ্ট করা হয়নি এর কারণ।
আরও পড়ুন- আজ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটা? জেনে নিন
বুধবার রাজভবনের অদূরে বিবাদীবাগ চত্বরে একটি অফিসে আগুন লাগে।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। প্রায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আগুন নেভানোর তদারকি করেন। বৃহস্পতিবারের এই উপদেশ নামা তারই ফলাফল হিসাবেই মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে এই উপদেশ নামায় বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগও ধরা পড়েছে। বিবাদীবাগের ওই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি হন। তারপরেই এই উপদেশ নামাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।