সেই বৈঠকেই মুখ্য সচিব নির্দেশ দেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রত্যেকটি গ্রাম ধরে ধরে একটি টিম তৈরি হবে। সেই টিমে আশা কর্মী ও আইসিডিএস-এর কর্মীরাও থাকবেন। তাঁরা প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবেন উপভোক্তা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য কী, যোগ্য না।
পাশাপাশি থানার ওসি বা আইসিরা নির্দিষ্ট করে তদন্ত করে দেখবেন, যে তালিকা তৈরি হচ্ছে সেই তালিকায় আসল উপভোক্তাদের নাম রয়েছে কি না। সেই তালিকাকে আবার ‘ক্রস-চেক’ করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলাশাসকদের। গোটা প্রক্রিয়াটি সাত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ বার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি বন্টনের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম বেধে দিয়েছে নবান্ন।
advertisement
আরও পড়ুন:রাতভর মাঠে-মাঠে ঘুরছেন বিডিও, চন্দ্রকোনায় হঠাৎ হল টা কী? চাঞ্চল্য এলাকায়
আরও পড়ুন: গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে তফাৎ কী! 'সঠিক ইতিহাস' পড়াবে সিপিআইএম, শহরের ২৫ জায়গায় চলছে ক্লাস
এর পাশাপাশি প্রতিটি এসডিও অফিসে একটি করে কন্ট্রোল রুম থাকবে। মূলত এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে উপভোক্তা যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় থাকবেন, তাঁদেরকে ফের যাচাই করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বিডিও, এসডিও অফিসে অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই মর্মে এ দিনের বৈঠকে নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে পেয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ও কেন্দ্রের থেকে টাকা পেয়েছে রাজ্য। কিন্তু টাকা দেওয়ার সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম এর আগে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেই অভিযোগে আর পুনরাবৃত্তি চাইছে না নবান্নের শীর্ষ মহল। শুক্রবারের বৈঠকে কয়েক দফা নির্দেশ দিয়ে কার্যত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি করতে চাইছে নবান্নের শীর্ষ মহল। তার জন্যই এই দিনের বৈঠকে কয়েক দফা নির্দেশ দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়