গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগের বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশেই তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা না পড়লেও কী করে সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হল? এই বিষয়টি নিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আইনজীবীদের দ্রুত আপিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বুধবার আদালতে আইনজীবীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্কুল শিক্ষা দফতর।
advertisement
প্রসঙ্গত, এসএসসি গ্রুপ ডি-র নিয়োগ অনিয়ম, দুর্নীতিতে ভরা বলেও বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ শুধু নিয়োগ বাতিলই নয়, ৫৭৩ জন বেতন বাবদ যে টাকা এতদিন পেয়ে এসেছেন, তাও পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কারণ জনগণের দেওয়া করের টাকাতেই ভুয়ো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের বেতন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন হাই কোর্টের ক্ষুব্ধ বিচারপতি৷ কীভাবে টাকা পুনরুদ্ধার করা হবে, তা প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকরাই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ ডি-র ৫৭৩টি ভুয়ো নিয়োগ বাতিল, বেতন পুনরুদ্ধারের নির্দেশ হাইকোর্টের
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের মে মাসে এসএসসি গ্রুপ ডি-র মেধা তালিকার মেয়াদ শেষ হয়েছে৷ মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অসংখ্য নিয়োগ হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রায় এক হাজার অভিযোগ শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টেই দায়ের হয়েছিল৷ এসএসসি-র তরফেই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল, ২০১৯ সালের মে মাসের পর তারা একজন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোন সুপারিশ করেনি৷
আরও পড়ুন: সুকান্ত মজুমদারের কাছে নিজের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে চান কুণাল ঘোষ! ব্যাপার কী?
এই হলফনামার উল্লেখ করেই বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এসএসসি যেখানে হলফনামায় এই দাবি করছে, সেখানে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশের অবকাশই থাকে না৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি কোনও নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে তা বেআইনি৷ এবার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।