যদিও এসএসসি অফিসে সিআরপিএফ মোতায়েনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজই ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে কমিশন। এসএসসি-র অফিস আচার্য সদনে সিআরপিএফ মোতায়েন প্রত্যাহার করতে হবে, এই আবেদন নিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে কমিশন।
আরও পড়ুন: গাড়ি বদল, বেহালার অফিস থেকে গেলেন কোথায়? রাতে রহস্য বাড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়!
প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে হাই কোর্টের নির্দেশের পরপরই রাত ২.৫০ মিনিট নাগাদ আচার্য সদনে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, CRPF মোতায়েন করা হয় আচার্য সদনে। সিজ করা হয় অফিস। সেই সময় থেকেই অফিসের বাইরে কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, কাউকে ভিতরেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সেই নির্দেশ পাল্টে নতুন নির্দেশিকা দিলেন বিচারপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত ২.৫০, এসএসসি অফিসে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী! মাঝরাতে হাই কোর্টের বেনজির নির্দেশ
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি 'দুর্নীতিতে' নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক। পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী। সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দেওয়ার পর কারা কারা কমিশনের অফিসে প্রবেশ করেছেন, তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খতিয়ে দেখার দাবিও করা হয়। এরপরই একের পর এক নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এবার রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ায় সেই সংঘাত যে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।