অন্যদিকে বিজেপির শিবিরে এই বিষয় নিয়ে নানা মতই শোনা গিয়েছে।কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার মতো কেউ কেউ সরাসরি বাংলা ভাগের দাবি করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক প্রশাসনিকভাবে এই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগের কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে ফের পৃথক রাজ্যের জিগির! জিটিএর প্রথম সভায় গোর্খাল্যান্ডের প্রস্তাব পাস
advertisement
পাশাপাশি সরাসরি বাংলা ভাগের কথা না বললেও বারবার উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা। অন্যদিকে বাংলা ভাগ নিয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ, জন বার্লাদের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বলেও মন্তব্য করেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।এমন কি, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল বা জঙ্গলমহল আলাদা করার দাবিও কখনও কখনও করেছেন এ রাজ্যের বিজেপির কোনও কোনও জন প্রতিনিধি।
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে শাসক দল। দলের বক্তব্য ছিল, যে বা যারা বাংলা ভাগ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তাঁরা কেন কোনওভাবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির যখন ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন বলেননি তাঁরা বাংলা ভাগ চান।
আরও পড়ুন: রাজবংশী যুবক মৃত্যুতে অভিষেকের নির্দেশ! নিশীথের বাড়ির বাইরে অবস্থানে তৃণমূল
যদিও দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যেই বিগত কয়েকদিন ধরেই এই বাংলা ভাগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে।অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়েও পাহাড়ে ফের গোর্খাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে নানা আলোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একাধিক রাজনৈতিক দল ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একজোট হয়েছে। আলোচনা শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।