বিভিন্ন দফতরের অধীনস্থ যে প্রকল্পগুলি রয়েছে সেই প্রকল্পগুলিতে কাজ করতে পারবেন তাঁরা। এই দপ্তরগুলি যে হারে দৈনিক পারিশ্রমিক দেয়, সেই অনুযায়ীই পারিশ্রমিক পাবেন একশো দিনের কর্মীরা৷ প্রতিটি জেলার অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
আরও পড়ুন: রাজ্য রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ! মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ইস্যুতে জোট বাঁধছে ১৫ বাম দল
advertisement
সরকারের কোন বিভাগে কোন জেলা থেকে বা কোন ব্লক বা গ্রাম পঞ্চায়েতের একশো দিনের কর্মীরা কী কাজে যুক্ত হবেন, তার জন্য ফরম্যাট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই এই মর্মে জেলাগুলিকে নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর৷
আরও পড়ুন: নতুন মেধাতালিকা নিয়েও হাইকোর্টের উষ্মা, বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত শব্দ নিয়ে ক্ষোভ
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র বকেয়া অর্থ না মেটানোর জন্য একশো দিনের কর্মীদের প্রায় চার মাস ধরে টাকা দেওয়া যাচ্ছে না৷ সেই কারণেই এবার বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ওই কর্মীদের কাজে লাগানো ভাবনা রাজ্য সরকারের৷ যাতে ওই প্রকল্পগুলির বরাদ্দ অর্থ থেকেই একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টাকা দেওয়া যায়৷
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়েই গ্রামাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একশো দিনের কর্মীদের সরকারি প্রকল্পে আরও বেশি করে ব্যবহার করলে যেমন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে গতি আসবে, সেরকমই একশো দিনের কর্মীদের ক্ষোভও প্রশমন করা যাবে৷ কারণ গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষই এই একশো দিনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত৷