নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যদিও এদিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকের পরই বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। রাজ্যগুলির তরফে যাবতীয় তথ্য এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
advertisement
যদিও এদিনই ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন এদিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের সিইও ওই বৈঠকে জানিয়েছেন রাজ্যে উপনির্বাচন করাতে হলে, তা এখনই করা হোক। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর ছুটি রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বন্যা ও করোনা পরিস্থিতিও মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই এখনই ভোট করানোর আদর্শ সময়।
ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে মূলত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, পুজোর ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তখনই তাঁকে এই বিষয়ে অবগত করেন এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই বুধবার ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার আলাদা করে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক করার সূত্রেই জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এ রাজ্যে আসতে পারেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তৈরি রাখার জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। বিশেষত, যে কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে বা বিধানসভা ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, সেই কেন্দ্রগুলির করোনা রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ইতিমধ্যেই বারবার উপনির্বাচনের জন্য তদ্বির করছে কমিশনের কাছে, অপরদিকে, বিজেপি এখনই এ রাজ্যে উপনির্বাচনের পক্ষপাতী নয়।