প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ এবং খুনে জড়িত থাকার যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাতে তাঁর দশ বছর অথবা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে৷ অভিযোগের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে রাজগঞ্জের বিডিও-র আগাম জামিনের নির্দেশ খারিজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে বিধাননগর পুলিশ৷ এই মামলায় দ্রুত শুনানি চেয়ে চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে রাজ্য সরকার৷
advertisement
গত ২৮ অগাস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে সল্টলেকের দত্তাবাদের দোকান থেকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে বিডিও প্রশান্ত বর্মন এবং তার লোকজনের বিরুদ্ধে৷ অপহরণের পর নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে বিডিও-র উপস্থিতিতেই ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ মারের চোটে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর মৃত্যু হলে তাঁর দেহ নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকায় ফেলে আসা হয়৷
নিজের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করতে গিয়েই বিডিও এই কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ৷ বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে নিহত স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবার৷ তদন্তে নেমে একে একে বিডিও ঘনিষ্ঠ এবং এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, স্বর্ণব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিডিও-র বিরুদ্ধে একাধিক জোরাল তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে পুলিশ৷
যদিও প্রথম থেকেই এই ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিডিও৷ যদিও তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতিও ধরা পড়েছে৷ শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকদিন অন্তরালে থাকার পর বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান প্রশান্ত বর্মন৷ সেই জামিনের আর্জি মঞ্জুরও হয়ে যায়৷
