এ ছাড়া ২২২টি হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইউনিট ও ৪৫টি স্পেশালিটি আউটডোর সেন্টার। তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে তার দফতরের আওতায় রয়েছে ৪২টি মাতৃসদন, যার বেড সংখ্যা ৭১৬টি। ২০২১-২২ সালে নগরোন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় আরবান হেলথ সেন্টার তৈরির বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেইমতো বর্তমানে রাজ্যে ৭০৩টি আরবান হেলথ সেন্টারের মধ্যে চালু রয়েছে ৫৩২টি। এর মধ্যে যেমন কিছু স্থায়ী ঠিকানায় চালু রয়েছে। আবার কতকগুলি ভাড়া করা ঠিকানায় চালু রয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন এছাড়া আরও ২০০ আরবান হেলথ সেন্টার তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে দফতরের তরফ থেকে তা তৈরি করা হবে। তিনি জানান এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এই মুহূর্তে চিকিৎসকের সংখ্যা ১৬৯১ এবং নার্সের সংখ্যা ৭৪৭ জন।
advertisement
মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল শেষ পাঁচ বছরে এ ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা কত বৃদ্ধি পেয়েছে। জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ৫৩২টি হেলথ সেন্টার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার এই মুহূর্তে স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানায় চালু রয়েছে। এছাড়া ১৭১টি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি রয়েছে যেগুলি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এইসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বর্তমানে চিকিৎসকের শূন্যপদ রয়েছে ১০২৫ ও নার্সের ৫১২টি।
এই শূন্যপদ পূরণের বিষয়েও মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত গোটা বিষয়টি অর্থ দফতরের মঞ্জুরীর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি চালানোর জন্য অস্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের পথে হাঁটছে দফতর। তাদের মাধ্যমেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যে লোক সংখ্যার কমে সমস্যা রয়েছে তা মোকাবিলা করা হবে। এদিন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার এই হেলথ সেন্টার বা ওয়েলনেস সেন্টারগুলিতে নাইট গার্ড ও সুইপারের অভাবের বিষয় উল্লেখ করেন। মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তাঁকে জানিয়ে দেন, এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পুরসভাকেই নিতে হবে। সব কিছু সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।