দেশে প্রথমবার ইউনিসেফ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর সহযোগিতায় এদিন এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের বিধান অনুসারে, ছোটখাটো অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত শিশুকে নিয়মিত বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে এবং শিশুটিকে বাবা-মা বা অন্য অভিভাবকের কাছে রেখে সমাজকর্মীদের সহায়তায় পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
advertisement
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা বলেন, "লঘু এবং গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না। শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রেও পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তাই পরিবার কিংবা কাছের কোনও লোকের কাছে রেখে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে শিশুটিকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে।"
ইউনিসেফ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মহম্মদ মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বলেন, "আমাদের এই শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নিয়মিত ফলো-আপ এবং মানসিক-সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এই জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন।"
আরও পড়ুন, ভুল মেসেজ পাঠিয়ে আর নেই চিন্তা, চট করে বদলান লেখা! WhatsApp আনছে দুর্দান্ত ফিচার
আরও পড়ুন, বাইডেন, সুনাককে দশ গোল! মোদি ভেঙে দিলেন সব রেকর্ড, গ্লোবাল রেটিংয়ে ধামাকা
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সদস্যদের উচিত শিশু অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলি দ্রুত বিচার করা। WBCPCR-এর চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, বিভিন্ন চাইল্ডকেয়ার ইনস্টিটিউশনে পরিদর্শনের সময় তাঁরা অনেক শিশুকে খুঁজে পেয়েছেন, যারা ছোটখাটো অপরাধ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউনিসেফ, রাজ্য সরকার এবং একটি এনজিও জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অপরাধপ্রবণ এলাকায় একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে।