যদিও অর্থমন্ত্রী এই পরিসংখ্যান দিলেও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে। ফিসক্যাল রেসপন্সেবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী ঋণ নেওয়ার যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে, তা ভাঙছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে যেভাবে রাজ্যের ঋণের বোঝা বেড়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি তথ্যও নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'শিল্পই হবে শেষ কথা', কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের
তিনি জানিয়েছেন, "রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ফাইল পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই ফাইল ইন্টারনাল ফিনান্সে আটকে রয়েছে নর্থ ব্লকে। সেই ১০ হাজার কোটি টাকা যদি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেন, তাহলে বেতন হবে। আর যদি এই ঋণের অনুমোদন না পাওয়া যায়, তাহলে শুধু এনসিসি কেন, বেতন বন্ধ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।”
আরও পড়ুন: যেন 'মৃত্যুর উৎসব'! কেউ পদপিষ্ট, কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত ১৫০-আহত ১৫০
এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "বলা হচ্ছে ঋণ না পেলে রাজ্য সরকার নাকি বেতন দিতে পারবে না! ঋণের সীমাও নাকি অতিক্রম করেছে! মিথ্যাচারী বিরোধী দলনেতার জেনে রাখা ভাল, যে অর্থ চাওয়া হয়েছে তা একেবারে চাওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় নিয়ম ও আইন মেনেই চাওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্য সরকারও সেটাই করে। সৎ সাহস থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ কোটি টাকা মিটিয়ে দিক। তাহলে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে না।"
তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা এফআরবিএম আইন ও প্রয়োগ পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন জানেন না। বাম আমলে এটি চালু হয়। কেন্দ্র তার সংশোধনী এনেছে। বিধানসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে। রাজ্য যতটা ঋণ নিতে পারে তার চেয়ে এই বছর কম ঋণ চাওয়া হয়েছে। রাজ্য ৫৮ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারে। সেই সীমা অতিক্রম করেনি।