এ দিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন পার্থ৷ দু জনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়৷ তিনি বলেন, 'ভর্তি হয়েই আন্দোলন শুরু করে দিচ্ছে ছাত্ররা৷ আন্দোলন যেন বাত্সরিক উত্সব৷ সুরঞ্জান দাস মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত৷ এর আগের উপাচার্যকেও একই ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল৷'
advertisement
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ করে পড়ুয়ারা ৷ উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা ৷ মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৷ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ৷
নিজের চেম্বারেই ছাত্রদের দ্বারা আক্রান্ত হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে সন্ধে ৬টায় দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের এমারজেন্সি রেজিস্ট্রেশন ফর্মে তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের ধস্তাধস্তিতে আহত হলেও কোনওরকম পুলিশি নালিশ করতে তিনি আগ্রহী ছিলেন না।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সুরঞ্জন দাসের রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পড়ে যাওয়ায় তাঁর ডান কাঁধ, ছাতি ও হিপ বোনে আঘাত লাগে। এক্স-রে করা হয়েছে। তিনি হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবিটিসের রোগী। নিয়মিত ওষুধও খান। তাঁকে চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।