শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, সেই সময় জেলার একাধিক স্কুলে ধরা পড়ল অন্য ছবি। শিক্ষকরা এখানে আসেন- যান, মাইনে পান। বন্ধ স্কুলে নেই কোনও ছাত্র-ছাত্রী। করোনা পরবর্তী সময় থেকে স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে বলেই শিক্ষা মহলের দাবি। তবেই এই সব স্কুলেও আসছেন শিক্ষকরা ৷ অভিযোগ প্রায় তিন বছর সময় ধরে স্কুলে আসছেন, আর কিছু সময় বন্ধ স্কুলে কাটিয়েই চলে যাচ্ছেন।
advertisement
কোনও ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় বিনা পরিশ্রমে বেতন পাচ্ছেন শিক্ষকরা এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিছুদিন আগেই এমন ছবি নৈহাটি তিন নম্বর বিজয়নগর হাইস্কুলে উঠে এসেছিল। কয়েক বছর ধরে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে স্কুল। হুঁশ নেই প্রশাসনের। স্কুলের সময় শিক্ষকরা নিয়মমতো এলেও দেখা নেই কোন ছাত্র ছাত্রীদের। ক্লাসরুম ফাঁকা। বিস্ময়ের ব্যাপার, আবার কিছু কিছু ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে বসবাস করার জায়গা। রয়েছে খাট, বিছানা, ফ্রিজ, মশারি টাঙানো। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এখন সেই সব স্কুলে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।
বিষয়টি নিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি নিশ্চুপ স্থানীয় প্রশাসনও। কী কারণে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন একাধিক জায়গায় এলাকাবাসীরা। ছাত্র-ছাত্রী নেই অথচ শিক্ষকরা সেই স্কুলে এসে বিনা পরিশ্রমে সময় কাটিয়ে বেতন পাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে। সরকারকে বিষয়টি নজর দেওয়ারও আবেদন জানান সাধারণ মানুষ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘‘জেলাশাসকদের থেকে এমন স্কুল যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন অথচ ছাত্র-ছাত্রীরা নেই তার সমীক্ষা করানো হচ্ছে। বিধায়কদের থেকেও এমন স্কুলের তালিকা নেওয়া হচ্ছে৷ আশা করা যায় নতুন বছরের শুরুতেই এই সমীক্ষা রিপোর্ট চলে আসবে। তারপর সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে।’’ সূত্রের খবর, এই বিষয়ে একটা নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি হতে পারে।