শুধু তাই নয়, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেও মমতা বলেছেন, 'ভোটের আগে কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টাকাটা দেওয়া হোক।' চিঠিতে গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গ টেনেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও কৃষি মন্ত্রকের তরফে কোনও উপযুক্ত জবাব মেলেনি।
রাজ্যের বিরুদ্ধে কৃষকদের নাম না পাঠানোর যে অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার করেছিল, সেই প্রসঙ্গেও চিঠিতে মমতার জবাব, 'এই প্রকল্পে ২১.৭৯ লাখ কৃষক নাম রেজিস্টার করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪.৯১ লাখ ডেটা পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে।' চিঠিতে তিনি এমনও লিখেছেন, কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা এখনও পূরণ হয়নি।
advertisement
প্রসঙ্গত, বুধবার শপথ নেওয়া মাত্রই ভ্যাকসিন ও ওষুধ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। বিনামূল্যে সবাইকে টিকা দেওয়ার দাবি সেই সেই চিঠিতে। লিখেছিলেন, টিকার জোগান বাড়ানোর কথাও। চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, '২৪ ফেব্রুয়ারি টিকা কিনতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। বিনামূল্যে সকল রাজ্যবাসীর জন্য টিকাকরণ শুরুও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া পাইনি। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন, ওষুধ, টিকার ঘাটতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তাই ফের আপনাকে চিঠি লিখতে হল।' শুধু তাই নয়, রেমডেসিভির, টোসিলিজুমারের মতো ওষুধের জোগান বাড়ানোর বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, এবার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের অর্থ নিয়ে পত্র-বাণ মুখ্যমন্ত্রীর।