কখনও তাঁকে দেখা গেল ধামসা মাদল বাজাতে, কখনও দেখা গেল কাসর ঘন্টা বাজাতে, কখনও তাঁকে দেখা গেল আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মেলাতে, কখনও আবার বাচ্চাদের চকোলেট দিতেও দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যত বাচ্চা এসেছিল সব বাচ্চাকেই হয় মুখ্যমন্ত্রী নতুবা কোনও শিল্পী মারফত তিনি বিজয়া উপলক্ষ্যে চকোলেট পাঠালেন। শনিবার বেশ খোশ মেজাজেই মুখ্যমন্ত্রী ধরা পড়ল টানা সাড়ে চার ঘন্টার বেশি সময়সীমা ধরে।
advertisement
আরও পড়ুন: অপরূপ শিল্প ও শিল্পীর মেলবন্ধন! পুজোর কার্নিভাল হার মানাতে পারে বিশ্বের তাবড় উৎসবকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এরাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে আর চার-পাঁচদিনে সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং উৎসবকে ব্যপ্ত করে দিয়েছেন সময় এবং আয়োজনের নিরিখে। তাই সূচনালগ্নও যেমন এগিয়ে এসেছে, তেমনই বিসর্জনের বিষাদ ঢাকতে বছর কয়েক ধরে মুখ্যমন্ত্রীর এই কার্নিভালর আয়োজন। শহরের সেরার সেরা পুজোকমিটিগুলির প্রতিমা রেড রোড ধরে একে একে এগিয়ে যায় বাজে কদমতলা ঘাটের দিকে। পথের দু’ধারে বসে সেই দৃশ্য উপভোগ করতে পারলেন প্রচুর সাধারণ দর্শকও। আর এক দিনেই এই সমস্ত পুজো একসঙ্গে স্বচক্ষে দেখলেন বিদেশি অভ্যাগতরা।
তাই প্রতি বছর পুজো শেষে এই কার্নিভ্যালের প্রতি একটা বাড়তি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষজনেরা। এ যেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’। ২০১৯-এর পর দু’বছর কোভিডের জন্য এই মেগা কার্নিভাল আয়োজন করা যায়নি। তাই এবারের কার্নিভাল ঘিরে জাঁকজমক ছিল অনেক বেশি।