রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় হলফনামা দিয়ে এমনই তথ্য হাইকোর্টকে জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ বিজেপি যা চেয়েছিল- একসঙ্গে রাজ্যে পুরভোট হবে না। রাজ্যে প্রথম দফায় পুরভোট হবে কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের মধ্য দিয়ে ।
advertisement
১১২ পুরভোট একসঙ্গে করা বাস্তবিক সমস্যা কমিশনের জন্য। কারণ, হাইকোর্টে হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, একসঙ্গে ১১২ পুরসভা ভোটের জন্য ৩০১৭৩ ইভিএম প্রয়োজন। এই পরিমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম এই মুহূর্তে কার্যকরিভাবে কমিশনের হাতে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে কার্যকরি ১৫৬৮৭ ইভিএম রয়েছে। এই কার্যকরি ইভিএম-এর মধ্যে M2 টাইপ ইভিএম ৭৮৫১টি এবং M1 টাইপ ইভিএম ৭৮৩৬ আছে বর্তমানে কমিশনের কাছে। এই ইভিএম দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ১১২ পুরসভার একসঙ্গে ভোট সম্ভব নয়।
হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে কমিশন যে তথ্য দিয়েছে তার একটা ছোট্ট উদাহরণ এভাবে দেওয়া যায়। কলকাতা পুরনিগমের পুরভোটের জন্য প্রয়োজন ৭৯৯৯ ইভিএম। কলকাতায় ৪৭০৪ ভোটকেন্দ্র হবে সঙ্গে অতিরিক্ত ভোট কেন্দ্র হবে ৯৪১ টি। রিজার্ভ, ট্রেনিং মিলিয়ে সর্বমোট ৭৯৯৯ ইভিএম প্রয়োজন। অর্থাৎ ইভিএম অপ্রতুলতায় একসঙ্গে রাজ্যের পুরসভার পুরভোট করা বাস্তবিকভাবে সমস্যার কমিশনের কাছে।
আরও পড়ুন-যাত্রী সুবিধায় মেট্রোতে চালু হচ্ছে টোকেন, চুরি আটকাতে সচেতনতায় জোর
ইতিমধ্যে রাজ্য হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এর দেখানো পথে হেঁটে একাধিক দফায় রাজ্যে পুরভোট হবে। প্রথম দফার ভোট প্রস্তাব ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন কলকাতা এবং হাওড়া পুরো নিগমের ভোট চায় রাজ্য। কলকাতায় ৮৫ শতাংশ এবং হাওড়ায় ৫৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন আলোচনার ভিত্তিতে পুরভোট করবে এটাই রীতি। সেই দিক থেকে দুই তরফেই একাধিক দফায় পুরভোটের পক্ষে সায়।
অর্ণব হাজরা