বিধানসভায় বিজেপি-র ক্ষয়
এর আগে নিজেদের দখলে থাকা রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, রায়গঞ্জ এবং ধুপগুড়ি আসনগুলিও উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে হেরেছে বিজেপি৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর পরই কোচবিহার এবং শান্তিপুরের উপনির্বাচনেও হারে বিজেপি৷ সবমিলিয়ে গত তিন বছরে নিজেদের দখলে থাকা সাতটি আসন হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের৷ ফলে সরকারি ভাবে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে ৭০ হয়েছে৷
advertisement
যদিও খাতায় কলমে ৭০ হলেও বাস্তবে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা আরও কম৷ কারণ ২০২১-এর পর আরও চার বিজেপি বিধায়ক দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ ফলে সরকারি ভাবে ৭০ হলেও আসলে বিধানসভায় বিজেপির হাতে ৬৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷
আরও পড়ুন: শক্ত ঘাঁটিতেও শূন্য বিজেপি! কোন কৌশলে মাদারিহাট ছিনিয়ে নিল তৃণমূল?
বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা কত দাঁড়াল?
অন্যদিকে ২০২১-এর পর রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধিই পেয়েছে৷ শনিবারের আগে পর্যন্ত সরকারি ভাবে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ২১৫৷ শনিবার ৬টি আসনে জয় পাওয়ার পর তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল ২২১৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচ দল বদলু বিধায়কের সমর্থন৷ যাঁরা অন্যান্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ ফলে তাঁদের ধরলে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২২৬৷
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন পাঁচ বিধায়ক দল বদল করে তৃণমূলে এসেছেন-
কৃষ্ণনগর উত্তর- মুকুল রায় (বিজেপি)
কোতুলপুর- হরকালি প্রতিহার (বিজেপি)
আলিপুরদুয়ার- সুমন কাঞ্জিলাল (বিজেপি)
বিষ্ণুপুর- তন্ময় ঘোষ (বিজেপি)
সাগরদিঘি- বায়রন বিশ্বাস (কংগ্রেস)
এই মুহূর্তে বিজেপি বাদে বিরোধী শিবিরের বিধায়ক বলতে রাজ্য বিধানসভায় রয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ এ ছাড়াও রয়েছেন নির্দল বিধায়ক রুদেন সদা লেপচা৷
২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় শুক্রবারের পর কোন দলের বিধায়ক সংখ্যা কত? (দল বদলুদের বাদ দিয়ে)
তৃণমূল- ২২১
বিজেপি- ৭০
আইএসএফ-১
কংগ্রেস-১
নির্দল-১
গত তিন বছরে রাজ্য বিধানসভায় শাসক বিরোধী সবার সংখ্যাই বেড়েছে অথবা কমেছে৷ শূন্য থেকে ১ হয়েছে কংগ্রেসও৷ যদিও সাগরদিঘি থেকে ভোটে জেতা সেই বায়রন বিশ্বাসও দল বদলে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন৷ শুধু শূন্যেই আটকে রয়েছে বামেরা৷ আরজি কর আন্দোলনে মরিয়া হয়ে পথে নামলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের ময়দানে বামেদের দুর্দশা কিছুতেই কাটছে না৷
