কিন্তু গতকালের তিক্ত অভিজ্ঞতার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কড়া হল পর্ষদ ৷ প্রশ্ন ফাঁস রুখতে আজ আরও তৎপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৷ আজ নজরদারি আরও কড়া হচ্ছে ৷
গতকাল প্রথম ভাষার বাংলার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটের মাথায় ৷ হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ফাঁস হয়ে যাওয়া ছবি ৷ তবে সেই ছবিটি আসল কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ এরপর অ্যাপের মাধ্যমে মাধ্যমিকে টুকলির চেষ্টার অভিযোগও ওঠে ৷
advertisement
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে পর্ষদ সভাপতির কাছে গতকালই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তদন্ত শুরু করেছে পর্ষদ অফিসে সাইবার ক্রাইম অফিসাররা ৷
গত বছর উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। হোয়াটস অ্যাপে ভুয়ো প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টাও হয়েছিল। এ বছর এমন ঘটনা রুখতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। নির্দেশ দেওয়া হয়, সেন্টার ইনচার্জ, অফিসার ইনচার্জ, ভেনু ইনচার্জ, ভেনু সুপারভাইজার ও অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার ছাড়া কারও কাছে মোবাইল রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে অর্থাৎ ১১টা৪০ মিনিটে প্রশ্নের প্যাকেট খুলতে হবে। পাঁচ মিনিট আগে খাতা দিতে হবে।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এড়াতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদেরও মোবাইল তালাবন্দি অবস্থায় স্কুলের আলমারিতে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেয় পর্ষদ। জানান হয়, পরীক্ষার শেষে মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে। কারও কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সোমবারই জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
দেখুন আরও ভিডিও: