সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেল এখনও পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলো না। একাধিক আইনি জটিলতা তার জেরে বারেবারেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে গেছে। যদিও আদালতের নির্দেশে আরও একবার করে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা দু'মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১১ ডিসেম্বর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ দ্রুত করা হবে। শুধু তাই নয় টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট নেওয়া হবে বলে নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩১ জানুয়ারি টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট ও নেওয়া হয়েছে। তবে টিচের এলিজিবিলিটি টেস্ট এর ফলাফল প্রকাশ ভোটের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর।
advertisement
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ১৬৫০০ শূন্য পদের জন্য আবেদন করতে পেরেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যারা টিচারদের ১০% সংরক্ষণ করা হয়েছে। সোমবার রাতে মেধা তালিকা প্রকাশের পর পর এবার সফল প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। তবে এত কম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এযাবত কালে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারিনি বলেই পর্ষদ সূত্রের দাবি। অন্যদিকে সোমবারে স্কুল সার্ভিস কমিশন সাঁওতালি মাধ্যমে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। সব মিলিয়ে ভোটের আগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হলেও বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়