অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তিতে এবার হাওয়ালা যোগের তথ্যও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা চার্জশিটে। আর এর পরই শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর জন্য বৃহত্তর চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন তো সবেমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হাওয়ালার যোগ সামনে এসেছে। যেভাবে তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তাতে আগামী দিনে দেখুন না শাসক দলের দুর্নীতির টাকার সাথে আর কীসের কীসের যোগসূত্র পাওয়া যায়'।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো প্যান্ডেলের বাঁশে ঝুলন্ত দেহ যুবকের! চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে
বলাবাহুল্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের নামে ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। বীরভূম তৃণমূলের দাপুটে সভাপতিকে গ্রেফতারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আসানসোল আদালতে কেষ্টর নামে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ রয়েছে। এবার জানা গেল, সেই চার্জশিটে হাওয়ালা যোগের তথ্যও তুলে ধরেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টরের চাকা পিষে দিল ৩ বছরের শিশুকে, আহত আরও ১! মালদহে ধুন্ধুমার
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাংলাদেশের থেকে টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পৌঁছে যেত বিভিন্ন নেতা, পুলিশ আধিকারিক এমনকী বিএসএফ আধিকারিকের কাছেও। পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠেছে দুঁদে সিবিআই অফিসারদেরও। অনুব্রত মণ্ডলের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। অভিযোগ, গরু পাচারের টাকাতেই এই সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গত ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।