প্রাক্তণ তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক তথা অভিনেতা প্রয়াত তাপস পালকে শ্রদ্ধা জানাতে মমতা বুধবার কলকাতার রবীন্দ্র সদনে যান। সেখানেই তাপসের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি-শাসকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অত্যাচার এবং লাঞ্ছনা-গঞ্জনা তাপসকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। তাপস জানতেই পারল না, ওর কী অপরাধ।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি , কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের চাপের শিকার হয়েই মারা যান তাপস পাল। মুখ্যমন্ত্রীর সুরে এবার তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন ,অন্যায়ভাবে তাপস পালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাপস পালের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে তাঁকে দিনের পর দিন জেলে বন্দী করে রাখা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমানবাবুর কথায়, একই অভিযোগে অভিযুক্ত বিরোধী দলের আরও অনেকেই ছিলেন। কিন্তু বেছে বেছে তাপস পালকেই নিশানা করেছে সিবিআই। আমি মনে করি এই গ্রেফতারি কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে কাজ করে আমার যা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাতে যে মামলায় জননেতা ,অভিনেতা তাপস পালকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দিনের পর দিন জেলবন্দি জীবনই ওঁর সব স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রয়াত সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা প্রবল মানসিক চাপের কারণেই বলে মনে করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাপস পাল সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিমানবাবু। তিনি বলেন, " ওঁর অভিনীত সিনেমার ভক্ত ছিলাম । বাংলা সিনেমা জগৎ একজন সফল তথা জনপ্রিয় অভিনেতাকে হারাল। কিন্তু যেভাবে অকালে , অসময়ে তাঁর মৃত্যু হল তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অপূরণীয় ক্ষতি "।
VENKATESWAR LAHIRI