বিধানসভায় ৬৯ তম পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস আজ প্রথমবার পা রাখলেন বিধানসভায়। প্রথাগত ভাবে, সেই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আমন্ত্রন জানিয়েছিল বিধানসভা। কিন্তু, বিধানসভার অনুষ্ঠানের সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ব্যাস্ত থাকলেন রাণাঘাটে দলীয় প্রতিবাদ সভায়। যদিও, তা নিয়ে আজ শাসক দলের তরফে কোন সমালোচনা করা হয় নি। বরং, নতুন রাজ্যপালের আতিথেয়তা আর বিধানসভা দর্শনে ব্যস্ত থাকল বিধানসভা।
advertisement
আরও পড়ুন: কীর্তন শুনতে গিয়ে এ কী হল! প্রৌঢ়ের পরিস্থিতি শুনলে চমকে উঠবেন
বিধানসভায় রাজ্যপালের অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকা নিয়ে সাফাই দিয়ে শুভেন্দুর পাশেই দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতাকে সমর্থন করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ''বিধানসভায় শাসক - বিরোধী সহবস্থানের কোন পরিবেশ নেই। এর জন্য তৃণমূল ও স্পিকারই দায়ী। ফলে, স্পিকারের অনুষ্ঠানে একমঞ্চে থাকার মত পরিস্থিতি নেই। সেটা রাজ্যপালও জানেন। " শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের মঞ্চে বিরোধী দলনেতার ঠিক পাশের আসনটি বীরবাহার জন্য নিদৃষ্ট করার মধ্যে রাজনীতিই দেখছে বিজেপি।
শেষপর্যন্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা কেউই আসেন নি। তবে, পর্যবেক্ষকদের মতে, কোনও কারণে বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকলে রাজ্যপালের মঞ্চেই আসন বিতর্কে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত।
আরও পড়ুন: শোভনদেবের ফোন ধরবেন না শুভেন্দু, দাবি আদায়ে দিল্লিতে একাই লড়বে তৃণমূল!
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যতবার বিধানসভায় এসেছেন, বিতর্ক পিছু ছাড়ে নি। বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে নানা ইস্যুতে সংঘাত ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। আক্রমন, পাল্টা আক্রমনে বিধানসভা রাজনীতি উত্তাল হয়েছে বারবার। সেই জায়গা থেকে আজকের ছবিটা ছিল একেবারে অন্যরকম। রাজনৈতিক মহলের মতে, গতকালই, এলেন পার্কে বড়দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই, নতুন রাজ্যপালকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে দলীয় বিধায়কদের গলায় রাজ্যপালের প্রশংসা শুরু হয়ে গেছে। আজ সেই ধারায় যুক্ত হলেন বিধানসভার স্পীকারও।
তবে, বিরোধীদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় কিছু আসে যায় না। উনি কখন কাকে কাছে ডেকে নেবেন, আর কখন কাকে ছুঁড়ে ফেলবেন, তা একমাত্র উনিই জানেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের এই 'হানিমূন' পিরিয়ডের স্থায়িত্বের কোন গ্যারেন্টি নেই।