তাকে বিএ কমিটিতে বিবেচনার কথা বলার কোন অর্থ নেই। তারা বিএ কমিটি, সর্বদল বৈঠক বয়কট করেছেন। কৌশলে তাদের বিএ কমিটিতে সামিল করতে স্পিকার আজ তাদের মোশন নিলেন না৷ কিন্তু, তাদের মোশান গ্রহণ ও সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা বিএ কমিটিতে যাবেন না। তিনি জানান, বিজেপির আনা জোড়া প্রস্তাবে একাধিক ভুল রয়েছে। তাই তা গ্রহণ করা যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ছে গরমের ছুটি! নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় এ নিয়ে প্রবল হট্টগোল শুরু হয়। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, প্রস্তাবে কোনও ভুল নেই। কিন্তু তিনি আগেই জানতেন, সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন গৃহীত হবে না। কারণ, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। এরপরই প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার বাইরে সিঁড়ির উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, মিহির গোস্বামী এবং শঙ্কর ঘোষ স্লোগান তোলেন। বিধানসভার গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু-সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদে বিধানসভার বাদল অধিবেশন বয়কট করে বিজেপি। সাসপেনশনের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও যান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু আদালতও জানায়, বিধানসভার রীতি মেনে বিধায়কদের সাসপেনশনের বিষয়টির সুরাহা হোক। তার পরই জোড়া প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় যায় বিজেপি। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার।